জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে, তেমনি তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ গড়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে একটি মানবিক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র। জাতির উন্নয়নে দৃঢ় প্রত্যয়, রাজনৈতিক সাহসিকতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অপূর্ব সংমিশ্রণ শেখ হাসিনাকে পরিণত করেছে বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়কে।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে পুনর্গঠিত করেন দলকে। দীর্ঘ নয় বছর রাজপথে আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেও ষড়যন্ত্রমূলক কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি, শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসে সংসদকে জবাবদিহিতামূলক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে বাস্তবায়ন করে মানবিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে কূটনৈতিক বিজয়ের পথনকশা। এই মেয়াদেই বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি, এবং পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়। কৃষি, শিক্ষার আধুনিকায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৌলিক ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ সাক্ষী হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রযাত্রার। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ পৌঁছে গেছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে।
শেখ হাসিনা প্রবর্তিত ‘স্মার্ট দারিদ্র্য বিমোচন মডেল’-এর মাধ্যমে ঘরহীনকে ঘর, ভূমিহীনকে জমি, কর্মহীনকে ঋণ ও প্রশিক্ষণ, নারীকে ক্ষমতায়ন এবং শিশুকে শিক্ষা নিশ্চিত করে গড়ে উঠছে একটি মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র।
স্বাধীনতা-উত্তর সংকটে বিপর্যস্ত দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে স্বনির্ভর ও মানবিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি জাতি গঠনের অবিচল যাত্রাপথের নেতৃত্বদাতা শক্তি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে, মানুষের জীবনের মানোন্নয়নই হয়ে উঠেছে এই সরকারের মূল লক্ষ্য।
এই বাংলাদেশ—উন্নয়নের বাংলাদেশ, স্বপ্নের বাংলাদেশ—শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।