প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে পারদর্শী হয়ে একদিন চাঁদ জয় করতে পারে।
তিনি বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। আমাদের একদিন চাঁদেও যেতে হবে, চাঁদ জয় করতে হবে। এজন্য শিশুদের শৈশব থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা দিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ–২০২৪) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আমাদের শিশুদের স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য তাদের শৈশব থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে।”
অনুষ্ঠানে তিনি ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’-এর বিজয়ী ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়তে। আজকের শিশুরাই সেই সোনার বাংলার নির্মাতা হবে। আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি এবং অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মহাকাশ ও বিজ্ঞান গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি, যেখানে শিশুদের খেলাধুলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “২০১০ সাল থেকে বই উৎসবের মাধ্যমে প্রতিবছর কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বৃত্তির টাকা মা-বাবার মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি স্কুল ফিডিং, শিশুশ্রম বন্ধ ও স্যাটেলাইট বিদ্যালয় চালুসহ শিক্ষা বিস্তারে সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিক্ষিত জনশক্তিই হবে দেশের মূল শক্তি। এজন্য নারী শিক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা, মানবিক গুণাবলী ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা একটি উন্নত, মানবিক, জ্ঞাননির্ভর এবং প্রযুক্তি-অগ্রসর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।”